ঢাকা     বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১১ ১৪৩১

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে আবেদন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেতে আবেদন

জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম

টাঙ্গাইল শাড়ির ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ই-মেইল করে মন্ত্রণালয়ের আবেদনের সব ডকুমেন্ট পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এ ছাড়া বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে হার্ডকপি জমা দেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ‘ভৌগলিক দিক থেকে টাঙ্গাইল বাংলাদেশের একটি অংশ। সেই পরিপেক্ষিতে টাঙ্গাইল নামধারী যে কোনো পণ্যই বাংলাদেশের পণ্য। আমাদের গর্বের যে টাঙ্গাইল শাড়ি এটি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার। আমরা তিন মাস আগে থেকে টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য ডকুমেন্টেশনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। সেটি এই মুহুর্তে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আমরা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেই আবেদনের প্রক্রিয়ার মধ্যে ভারত টাঙ্গাইল শাড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত স্বীকৃতি না দিলেও এই সপ্তাহে আমরা টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য আমদানি করতাম। টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি লাভের জন্য শাড়ির ইতিহাস, এর সঙ্গে মানুষের জীবন জীবিকার তথ্যাদি, এর অর্জন, গত প্রায় আড়াইশত বছরের ইতিহাসের তথ্যাদি সম্বলিত করে ডকুমেন্টেশন তৈরি করেছি। জিআই পণ্য লাভের জন্য পদ্ধতিগত কন্টিভিউশনগুলো যেমন পে অর্ডার জমা, আবেদন করা, ডকুমেন্টেশন রেডি করা, শ্যাম্পল হিসেবে শাড়ি জমা দেয়া, সেগুলো সবকিছু করে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে সফট কপি পাঠানো হয়েছে।’  

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি প্রদানের যে কার্যক্রম, সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।’ 

ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন- জিআই) হচ্ছে, একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে।

কোনো দেশের আবহাওয়া ও পরিবেশ যদি কোনো পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব রাখে, সেই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে যদি বিষয়টি সম্পর্কিত হয়, তাহলে সেটাকে সে দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর জিআই নিবন্ধন দেয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত আইন এবং ২০১৫ সালে বিধিমালা হয়।

গত বৃহস্পতিবার ভারতের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে করা একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রঙ এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। টাঙ্গাইলের প্রতিটি শাড়ি ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে দক্ষ কারুকার্যের নিদর্শন।’ 

এরপর থেকে টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ হয়।
 

কাওছার/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়