ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

সেনবাগ উপজেলা আ.লীগ সম্পাদকসহ ৪ নেতাকে অব্যাহতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
সেনবাগ উপজেলা আ.লীগ সম্পাদকসহ ৪ নেতাকে অব্যাহতি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ চার নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম, অর্জুনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহাব উল্যা, ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আহাদ ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান।

বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলমের স্থলে আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উল্যা বাহারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অর্জুনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহাব উল্যার স্থলে কুতুব উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আহাদের স্থলে রেজাউল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের স্থলে আবদুল হককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করায় তিনি (মোরশেদ আলম) দলীয় সভা ডেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।

নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মোরশেদ আলম জয়লাভ করেন।

এ বিষয়ে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। পরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে সমর্থক করি। সেই ক্ষোভ থেকে মোরশেদ আলম একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। বিষয়টি দলের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে।’

সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, অভিযুক্ত নেতারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় দলের বর্ধিতসভায় তাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, অব্যাহতির বিষয়ে দলের হাই কমান্ডের সঙ্গে জেলা কমিটি কথা বলবে। 

সুজন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়