ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

হাত-পা ও মুখ বাঁধা শিশুর লাশ উদ্ধার, বাবা ও সৎ মা আটক

ফেনী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ০৯:১৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হাত-পা ও মুখ বাঁধা শিশুর লাশ উদ্ধার, বাবা ও সৎ মা আটক

ফাইল ফটো

ফেনীর পরশুরামে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় বাসার ভেতর থেকে উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় মারা যাওয়া শিশুটির বাবা নূর নবী এবং সৎ মা রেহানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার এয়ার আহাম্মদের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নূর নবী প্রথম সংসারের দুই মেয়ে লামিয়া ও ফাতেমা আক্তার নিহাকে (১১) নিয়ে বাঁশপদুয়ার পশ্চিম পাড়ার এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানার সঙ্গে থাকতেন। মঙ্গলবার মেয়েদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার কথা বলে ফেনীতে যান নূর নবী ও রেহানা। দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পড়া দুই যুবক নূর নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। শিশুরা দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভেতরে ঢুকে লামিয়াকে টেপ দিয়ে হাত-মুখ ও পা বেঁধে হত্যা করে। এসময় ফাতেমা আক্তার নিহা পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ফাতেমা আক্তার নিহা পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুমন বলেন, ৪ বছর আগে নূর নবীর সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা আক্তারের বিচ্ছেদ হয়। নূর নবী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে দুই সন্তান সৎ মায়ের সঙ্গে থাকতো। মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাত-পা ও মুখ বাঁধা শিশু লামিয়ার লাশ দেখতে পেয়েছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করছি, ঘটনাটি তার সৎ মায়ের পরকীয়ার কারণে ঘটতে পারে। 

নূর নবীর বোন মুন্নি বলেন, আমরা ভাইয়ের সঙ্গে থাকতাম না। তবে বিভিন্ন সময়ে তাদের পারিবারিক অশান্তির কথা শুনেছি। মাঝে মধ্যে সৎ মা লামিয়া ও নিহাকে মারতো বলেও শুনতাম।

নূর নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তারের বাবা অভিযোগ করে বলেন, নূর নবী দ্বিতীয় বিয়ের পর আমার মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমরা চাইলেও দুই নাতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতাম না। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার নাতনিকে হত্যা করেছে।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা ও সৎ মাকে থানায় আনা হয়েছে।

সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়