ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

নরসিংদীতে প্রকৌশলী হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নরসিংদীতে প্রকৌশলী হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

সহকারী প্রকৌশলী আল আমিন।

মটরসাইকেল ছিনতাই করতে বাধা দেওয়ায় সহকারী প্রকৌশলী আল আমিনকে হত্যার পর মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা।

২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাতে অফিস থেকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে আল আমিনকে (২৭) হত্যা করে আসামিরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দীর্ঘ ৫ বছর মামলার সাক্ষ্য নেওয়া শেষে নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর আল আমিন হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক শামিমা পারভিন এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি কারাগারে আছেন। বাকি সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ১) মরিচাকান্দি গ্রামের আ. করিমের ছেলে নুরুল আমিন ওরফে রাহুল, ২) ভাটেরচর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. হৃদয় মিয়া, ৩) মরিচাকান্দি গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে মো. কাউসার মিয়া, ৪) দুলালকান্দি এলাকার আওয়াল মিয়ার ছেলে মাহিন, ৫) একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে রাকিবুল ইসলাম শুভ, ৬) দড়িচন্ডিবের গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে সুমন ওরফে সুন্দর সুমন, ৭) বাঁশগাড়ী গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে আশ্রাব উদ্দিন ওরফে শাকিল, ৮) রায়পুরা সাহেরচর গ্রামের কঠিল উদ্দিনের ছেলে রিপন, ৯) নোয়াকান্দি গ্রামের মহাজ উদ্দিনের ছেলে সাইদুর ও ১০) বেলাবো ভাটেরচর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রুবেল। এদের মধ্যে মাহিন ও রাকিবুল ইসলাম শুভ কারাগারে রয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলামিন প্ল্যান ভিউ কনসালটেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারর্স ফার্ম’র সহকারী প্রকৌশলী ছিলেন। ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে আল আমিন নরসিংদী স্টেডিয়াম সংলগ্ন কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়ি বেলাবোতে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিহত আল আমিন বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় পৌঁছালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আল আমিনের গতিরোধ করে মটরসাইকেল ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দিলে ছিনতাইকারী ডাকাতদল ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ পাশ্ববর্তী একটি ক্ষেতের মধ্যে ফেলে নিহতের ব্যবহৃত মটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা নাজিম উদ্দিন মোহন বাদি হয়ে বেলাবো থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত আল আমিনের মামা প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের আশা ছিল হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হবে। আদালত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো।

বাদী পক্ষের মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা রাখছি পুলিশ পলাতক ৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের রায় বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

হৃদয়/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়