ঢাকা     শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৬ ১৪৩১

শিশু মরিয়ম হত্যার রহস্য উদঘাটন

পটুয়াখালী(উপকূল)প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২০:২৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
শিশু মরিয়ম হত্যার রহস্য উদঘাটন

পটুয়াখালীর দশমিনায় আলোচিত শিশু মরিয়ম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এই শিশুর হত্যাকারী তার মা রিনা বেগম (৩৮) ও চাচা সেন্টু মৃধা (৫০)।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এ হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মাধ্যমে তারা এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে উপজেলার বেতাগীসাকিনপুর ইউনিয়নের রামভল্লব গ্রামের রিনা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার হারুন মৃধার বিরোধ চলে আসছিলো। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত ১ ফেব্রুয়ারি রিনা বেগম তার শিশু সন্তান মরিয়মকে নিয়ে একই গ্রামের ফুফু ফরিদা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিনা সেন্টুর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় সেখান থেকে কৌশলে মরিয়মকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় রিনা বেগম ও সেন্টু। পরে রিনা বেগমের ওড়না দিয়ে মরিয়মের মুখ চেপে ধরে এবং চাচা সেন্টু লাঠি দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে দু‘জনে দুই দিকে চলে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর রিনা বেগম বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে হারানোর নাটক করে খুঁজতে থাকে। তার সন্দেহ যে শরীরের মধ্যে রক্ত লেগে আছে তাই সে মেয়েকে খোঁজার ছলে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় মরিয়মের পিতা দশমিনা থানায় মামলা দায়ের করলে ঘটনা তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পরই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিনা বেগম ও সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি গিটযুক্ত ও ১টি রেইনট্রি গাছের লাঠি উদ্ধার করে।

ইমরান/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়