ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

লামিয়া হত্যা 

আমাকে ফাঁসাতেই হত্যার পরিকল্পনা, দাবি বাবার 

ফেনী সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১১:০৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আমাকে ফাঁসাতেই হত্যার পরিকল্পনা, দাবি বাবার 

ফেনীর পরশুরামে আলোচিত শিশু উম্মে সালমা লামিয়া (৭) হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের মা ও সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহত শিশুর বাবা মো. নুরুন্নবী বাদি হয়ে পরশুরাম থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। 

বুধবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লামিয়ার মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

এ দিন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। থানা হেফাজতে থাকা লামিয়ার মা আয়েশা, সৎমা রেহানা ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়ার বড় বোন নিহার সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এ ঘটনায় নুরুন্নবীর প্রথম স্ত্রী ও নিহত লামিয়ার মা আয়েশা আক্তার ও সৎ মা রেহানাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন।  

নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী আয়েশার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। আয়েশার পরিকল্পনাতেই আমাকে ফাঁসাতে লামিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হতে পারে। 

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনার চার দিন আগে আয়েশা পরশুরামে আসেন। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, নিহত লামিয়ার বড় বোন নিহার বক্তব্য অনুযায়ী সে হত্যাকারীদের দেখলে চিনবে। সে জানায়, হত্যাকারী দুজনই মাথায় হেলমেট পরা থাকলেও বাসায় ঢুকে হেলমেট খুলে ফেলেন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ের রং কালো, সামান্য মোটা। আগেও তাদের দুজনকে পরশুরাম স্টেশন রোডে দেখেছে সে। দুজনের সঙ্গেই তার মায়ের পরিচয় ছিলো।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক বাসায় গিয়ে শিশু লামিয়াকে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। লামিয়াকে হত্যার পর দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয়রা নিহাকে উদ্ধার করে।

সাহাব উদ্দিন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়