ঢাকা     শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৬ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই দিন গোলাগুলির শব্দ নেই 

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৭:১১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুই দিন গোলাগুলির শব্দ নেই 

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় গত দুই দিন গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে টানা গোলাগুলিতে বাংলাদেশের সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন হতাহতের ঘটনায় আতঙ্কে ছিলেন। তবে গত দুইদিন গোলাগুলি না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের এলাকাবাসী এখন কিছুটা স্বস্তিতে আছেন। তবে গোলাগুলি না হলেও সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সীমান্তরক্ষী বিজিপির মধ্যে লড়াই চলছে। এ কারণে পাল্টাপাল্টি আক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে।

গতকাল ও আজ তুমব্রু, ঘুমধুম, কোনারপাড়া ও বাইশফাঁড়ি সীমানায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে সশস্ত্র যুদ্ধ চলমান রয়েছে। গোলার শব্দ ও বিভিন্ন সময় নিক্ষিপ্ত গোলা সীমানা পেরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লোকালয়ে এসে পড়েছে। আর হতাহতের ঘটনার পরে এলাকায় আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। তবে গত দুইদিন ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও স্থানীয়দের জনমনে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। 

কোনাপাড়া এলাকার আবু সিদ্দিক (৬২) বলেন, গত বুধবার রাত থেকে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়নি। এর আগে সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে এমন তুমুল যুদ্ধ আমার জীবনে দেখেনি।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত দুই দিন গোলাগুলি না হওয়ায় ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ঘুমধুম বাজারেও দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। আগের মতোই বাজারে মানুষজন চলাচল করছে। তবে আশঙ্কা রয়েছে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর রাইট ক্যাম্প ও ঢেকিবনিয়ার সীমান্ত ক্যাম্প বিদ্রোহীরা তাদের দখলে নিয়েছে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীও তাদের ক্যাম্প পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টার ও বিমান হামলা করার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ঘুমধুম পুলিশফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এলাকার মানুষজন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। বাজারের অধিকাংশ দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।

চাইমং/ফয়সাল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়