ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

সড়কের মাঝে ‘মরণ ফাঁদ’

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ০৯:২২, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সড়কের মাঝে ‘মরণ ফাঁদ’

হবিগঞ্জ-নছরতপুর আঞ্চলিক বাইপাস সড়কের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে ডিভাইডারের কাজ শেষ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। আর এতে করে প্রায়সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে সওজ বলছে, তারা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে খুঁটি সরানোর জন্য। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, খুঁটি সরানোর জন্য আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে টাকার ডিমান্ড দিয়েছি, দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শতশত যাত্রবাহীসহ পণ্যবাহী গাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকার কারণে টার্নিং নেওয়ার সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তারা বলছেন, কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে গেছে। এখন শুধু কিছু রঙের কাজ বাকি। এসব বিদ্যুতের খুঁটি তুলতে গেলে আবার নতুন করে সড়ক খুঁড়তে হবে। বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এসব খুঁটি।

বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, ধুলিয়াখাল বাইপাস সড়কে নতুন করে ডিভাইডার তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি বড় তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি। যে কোনো গাড়ি টার্নিং নেওয়ার সময় একটু অসতর্ক হলেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সিএনজি অটো রিকশা, মোটরসাইকেল, মাইক্রো বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। একই স্থানে আরও একটি খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন একটি মরণ ফাঁদ তৈরি হয়ে আছে।

একইভাবে পাইকপাড়া মোড়ে ডিভাইডার তৈরি করা হয়েছে সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে। সেখানকার কাজ প্রায় শতভাগ শেষ, কিন্তু বিদ্যুতের বড়বড় দুটি খুঁটি আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গেল এক সপ্তাহে সেখানে দুটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া জানান, সন্ধ্যার পর প্রায়ই দেখা যায় ছোট-বড় গাড়ি খুঁটির সাথে এসে ধাক্কা লাগে। এতে করে অনেকে আহতসহ গাড়ির গ্লাস ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

হবিগঞ্জ-সিলেট বিরতিহীনের চালক বাবুল মিয়া জানান, ডিভাইডার হওয়ার আগে ভালই ছিল, এখন ডিভাইডার দিয়ে সড়ক বড় করার কারণে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়কের মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। এখানে আসার পর একটু অসতর্ক হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। আমরা সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, চলতি মাসের মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে কাজটি করতে হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতকে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা খুঁটিগুলো সড়ক থেকে সরাবে বলে জানিয়েছে।

হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, খুঁটি সরানোর খরচ সড়ক বিভাগকে বহন করতে হবে। আমরা টাকার ডিমান্ড পাঠিয়েছি। জনস্বার্থে খুঁটিগুলো দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।

মামুন/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়