বরিশালে ভোটার হতে এসে ভারতীয় নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

ভোটার হতে এসে বরিশালের উজিরপুর থেকে ভারতীয় এক নারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে ভোটার করার চেষ্টায় ওই নারীর স্বামী ও তার ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আহমেদ এতথ্য জানিয়েছেন। 

গ্রেপ্তার ভারতীয় নারীর নাম সাবিত্রী বড়িয়াল। উড়িষ্যা প্রদেশের বালাঙ্গির জেলার পাট নগর থানার বনকা বিহার গ্রামের প্রয়াত শ্যামসুন্দর বড়িয়ালের মেয়ে তিনি। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ওই নারীর স্বামী এবাদুল হক ও তার ভাই এনামুল হক।

বরিশাল জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী বলেন, গত বুধবার উজিরপুর উপজেলায় নতুন ভোটার যাচাই-বাছাই ও ফিঙ্গারিং কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই কার্যক্রম তদারকি করতে ওই উপজেলায় যান তিনি। এসময় ওই নারী সাক্ষাৎকার দিতে এলে তার কথায় সন্দেহ হয়। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এদেশের নাগরিক না বলে স্বীকার করেন। পরে তাকেসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার নারী ভোটার হওয়ার জন্য পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার বাসিন্দা বাদশা মিয়া ও আনোয়ারা বেগমকে মাতা-পিতা উল্লেখ করেছেন। আবেদনপত্রে তাদের জন্মসনদ ও ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করেছেন। বাদশা মিয়া ও আনোয়ার বেগম ভারতীয় নারীর স্বামী এবাদুল হকের বোনের শ্বশুর-শাশুড়ি। আর ভারতীয় নারীকে ভোটার করতে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।

ভারতীয় নারী জানান, উড়িষ্যা থেকে দুই মাস আগে বাংলাদেশে এসেছেন। সাত বছর আগে চোরাইপথে ভারতে যাওয়া এবাদুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। ছনিয়া খানম নামে তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে।

সাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচনি তথ্য কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যর স্বাক্ষরের পরে তিনি ওই কাগজে স্বাক্ষর দিয়েছেন।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আহমেদ বলেন, ভারতীয় ওই নারীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ এবং জাল-জালিয়াতির জন্য স্বামী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।