ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ: শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৫

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৭:২৯, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
গোপালগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ: শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ৫

মাদ্রাসার সুপার ইসমাইল হোসাইন। (ছবি- সংগৃহীত)

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকেসহ ৫ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুকসুদপুর উপজেলার ওই মাদ্রাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ইসমাইল হোসেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামের ইয়ার আলি সিকদারের ছেলে ও মাদ্রাসার সুপার (মোহতামিম)।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মাসুম বিল্লা, আলামিন হোসেন, আসাদুজ্জামান, মিজানুর রহমান ও আমেনা বেগম। মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

ওসি আশরাফুল আলম বলেন, গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ইসমাইল হোসাইনসহ ৬ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। অপর একজন পলাতক রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষক তার রুমেই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃত ওই মাদ্রাসা শিক্ষকসহ ৫ জনকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মুকসুদপুর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিজ্ঞ বিচারক ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মেয়েটির বাবা বলেন, তার মেয়ে মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বুধবার সন্ধ্যার পর মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পর তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ মনে হচ্ছিল। মেয়েকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানায়। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাদল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়