ভোরে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, পলাতক অভিযুক্ত
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
![ভোরে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, পলাতক অভিযুক্ত ভোরে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম, পলাতক অভিযুক্ত](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024February/Noakhali-2402160547.jpg)
নোয়াখালীর সেনবাগে ভোর রাতে ঘরে ঢুকে সাবেক স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলীর বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩৮) ও নাতনী রাবেয়া আক্তার (১৮)। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আমির হোসেন (৫০) পালিয়ে যায়। তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার আমির হোসেনের সাথে ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সেনবাগ উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের সংসারে কলহ দেখা দিলে ৩ বছর আগে আমির হোসেন ও ফাতেমা বেগমের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ফাতেমা ও তার মা মাফিয়া নামাজ পড়তে উঠেন। এ সুযোগে আমির হোসেন আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুজন/টিপু
আরো পড়ুন