অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি সংস্থা জনউদ্যোগ। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম। বক্তব্য দেন-জনউদ্যোগের সদস্যসচিব মহেন্দ্রনাথ সেন, খুলনা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি শেখ মফিজুল ইসলাম, মহানগর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিত্যানন্দ ঢালী, জাতীয় পার্টির মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. গাইসুল আজম, টিইউসির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম চন্দন, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে ৭ হাজার ৮৬টি ইটভাটা চালু আছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৫ ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটায় বছরে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ ইট তৈরি হচ্ছে। ইটভাটায় বছরে ১৩ কোটি মেট্রিক টন মাটি লাগে। যার অধিকাংশ আসছে কৃষিজমি থেকে। উর্বর মাটির অভাবে কৃষক তার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফসল উৎপাদন করতে পারছে না। ফলে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হচ্ছে। যার কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা খরচের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
তারা আরও বলেন, সারি সারি ইটভাটায় চিমনি দিয়ে নির্গত হচ্ছে দূষিত কালো ধোঁয়া। দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও খুব বেশি সুফল মিলছে না। বরং অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশে চালু অর্ধেকের বেশি ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এসব ইটভাটার কারণে বায়ুদূষণ ঘটছে।
বক্তারা বলেন, ইটভাটা শুধু উর্বর মাটি ধ্বংস করছে না; বায়ু, মাটি ও প্রকৃতির স্থায়ী ক্ষতি করছে। স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের মালিকানা ও ছত্রচ্ছায়ায় এসব ইটভাটা চলছে। স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানের অন্যতম উৎস এলাকার তহবিলের বড় উৎস এসব ইটভাটা। ফলে অবৈধ হলেও প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অধিকাংশ ইটভাটার কারণে কৃষিজমির ফসলের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি আশপাশের বাসিন্দাদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অবিলম্বে অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
নূরুজ্জামান/মাসুদ