ইতালির পথে সাগরে নিহত ৩ যুবকের লাশ ফেরত পেতে অনিশ্চয়তা
মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ইতালি যাওয়ার পথে নিহত তিন বাংলাদেশি যুবকের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার দুই যুবক এবং সদর উপজেলার এক যুবক দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যায়। সেখান থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে তারা মারা যায়। এ ঘটনায় নিখোঁজ একজন নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুই যুবকদের মৃত্যুর খবর আসলে পরিবারে শোক নেমে আসে। জমি বিক্রি করে এ সকল যুবকেরা সুদিনের আশায় বিদেশে পাড়ি জমান। এখন সন্তানদের হারিয়ে পরিবারের সদস্য দিশেহারা।
সরেজমিন জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পাঁচখোলা গ্রামের আলী আকবারের ছেলে মো. সম্প্রাট (২৪) ইতালি যেতে মাস পাঁচেক আগে রাসেদ খান নামে এক দালালকে ৭ লাখ টাকা দেন। পরে তাকে লিবিয়া নিয়ে বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়। এরপর একদিন খবর আসে সম্প্রাট মারা গেছে।
সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন টুকু মোল্লা বলেন, তার ইউনিয়নের এক যুবক লিবিয়াতে মারা গেছে। তার লাশ ফেরত পেতে এরই মধ্যে লিবিয়ার শ্রম দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি আশা করেন, সরকার উদ্যোগ নিলে লাশ ফেরত পাওয়া যাবে।
গত ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলী শেখের ছেলে মামুন শেখ (২০) ও সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগীসহ (২৫) কয়েকজন যুবক দালালের মাধ্যমে ইতালি যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লিবিয়া থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালি উদ্দেশে সাগরে পাড়ি দেয় তারা। ৩২ জন ধারণক্ষমতার নৌকাটি ৫২ জন অভিবাসন প্রত্যাশী নিয়ে তিউনিসিয়ার ভুমধ্যসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে মামুন ও সজলসহ ১২ জন মারা যায়। স্থানীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। এতে রাজৈর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের আপন শেখ নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত মামুন শেখের বড় ভাই সজিব শেখ ও সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী সরকারের কাছে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, লাশ ফেরত আনতে সহযোগিতা দরকার হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে। তবে তিনি অবৈধভাবে বিদেশ না যাওয়া আহ্বান জানান।
বেলাল/বকুল