ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

পদ্মার বুকে পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব

নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
পদ্মার বুকে পলো দিয়ে মাছ ধরা উৎসব

গ্রামবাংলার চিরচেনা ঐতিহ্যের অন্যতম একটি পলো দিয়ে মাছ ধরা। বর্তমানে মাছ ধরার এই রীতি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারও নাটোরের লালপুর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। 

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া এলাকার পদ্মার বুকে জেগে থাকা (দামুস) নদীর হাঁটু পানিতে হয়ে গেল এই উৎসব। এতে উপজেলার বিলমাড়ীয়া, হাজিরহাট, চাঁদপুর, মোহরকয়া, মোমিনপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক জেলেরা পলো দিয়ে মাছ ধরায় অংশ নেন। মাছ ধরা দেখতে নদীর তীরে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। দল বেঁধে পদ্মার (দামুসে) হাঁটু পানিতে সৌখিন ও পেশাদার জেলেরা মাছ ধরতে নেমে পড়েন। তাদের পলোর নিচে ধরা পড়ে নানা জাতের দেশি প্রজাতির মাছ। এসময় উৎসুক গ্রামবাসীও নদীর পাড়ে বসে উপভোগ করেন মাছ ধরা। 

মাছ ধরা উৎসবে অংশ নেওয়া চাঁদপুরের কৃষক মমিনুল হক বলেন, শীত কালের শেষের দিকে প্রতিবছরই মাছ ধরার উৎসব হয়ে থাকে। এবারে শীত একটু বেশি হওয়ায় মাছের পরিমাণ কম।  মাছ খাওয়ার চেয়ে ধরার আনন্দটাই বেশি। সেজন্য সবাই মিলে ঐতিহ্যবাহী উৎসবে অংশ নিয়েছি।

বিলমাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতি বছর নদীর পানি কমে গেলে সবাই মিলে পলো দিয়ে মাছ ধরি। তখন আশপাশের গ্রামের শত শত মানুষ মাছ ধরতে আসেন। আমরা পাঁচজন এসেছি। প্রতি বছর পদ্মা নদীতে পলো দিয়ে মাছ ধরার যে আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না।

হাজির হাট থেকে আসা মাছ শিকারি আসলাম শেখ বলেন, খাল-বিল ও নদ-নদীর পানি কোমর পর্যন্ত পৌঁছালে পলো দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয়ে মাছ ধরতে যাই। একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। শখের কারণে সবাই একসঙ্গে মাছ ধরতে আসি।

আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়