প্রার্থী হয়ে পদ হারালেন বিএনপি নেতা, নির্বাচনও স্থগিত
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
অধ্যাপক সিরাজুল হক
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল হক। এই নির্বাচন গত বৃহস্পতিবার স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের লড়াই আপাতত হচ্ছে না। তবে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে মেয়র প্রার্থী হওয়ার কারণে অধ্যাপক সিরাজুল হককে দল থেকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিরাজুল হককে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজুল হককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজুল হকের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই তিনি বিএনপিকে এড়িয়ে চলছিলেন। গত বছর অনুষ্ঠিত রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ডা. কাইছার রহমান মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের এক মতবিনিময় সভায় তিনি যোগ দেন এবং লিটনের পক্ষে বক্তব্য দেন। শিক্ষক সমাজের সঙ্গে মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ওই নির্বাচনি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলেন।
আগামী ৯ মার্চ রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পৌরসভাটির মেয়রের পদ থেকে আব্বাস আলীকে বরখাস্তের কারণে এই উপনির্বাচন আয়োজন করা হয়েছিল। তবে, সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় মেয়রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়নি দাবি করে আব্বাস আলী আগেই উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছেন। এই রিটের নিষ্পত্তি না হলেও উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে আব্বাস আলীর আইনজীবী আবারও বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত এই উপনির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশনা দেন।
পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, এই উপনির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হয়েছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। শুনেছি, আরেকটি পক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে গিয়েছে। আদালত যদি আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে আদেশ দেন, সেক্ষেত্রেও নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তাছাড়া, এই তফসিলে ৯ মার্চ আর ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। হাতে সময় নেই।
কেয়া/মাসুদ