ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

বেইলি রোডের আগুনে হবিগঞ্জের মা-মেয়ে নিহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৮:২৯, ২ মার্চ ২০২৪
বেইলি রোডের আগুনে হবিগঞ্জের মা-মেয়ে নিহত

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে লাগা আগুনে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪০) ও মেয়ে প্রিয়াংকা রায় (১৭) মারা গেছেন। স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তম রায় পোল্যান্ড থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিহত প্রিয়াংকার বড় চাচা বিষ্ণু রায়।

মারা যাওয়া রুবি রায় ফিলিপাইনের নাগরিক। প্রায় ২৮ বছর আগে বাংলাদেশি নাগরিক উত্তম কুমারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।  

আরও পড়ুন: ‘বাবা আমাকে নিয়ে যাও, আমাকে এখান থেকে বাঁচাও’

মারা যাওয়া প্রিয়াংকার বড় চাচা বিষ্ণু রায় বলেন, উত্তম ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। পরবর্তীতে উত্তম পোল্যান্ড যান। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন। মা-মেয়ে রাজধানীর মালিবাগে থাকতেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে উত্তম রায় পোল্যান্ড থেকে রওনা হয়েছেন।

আরও পড়ুন: শান্তর ফোনে কল দিলে পুলিশ জানায়, লাশ হাসপাতালে

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের মা-মেয়ে নিহত হন।

আরও পড়ুন: ‘কেউ আমার ছেলে, বউ, নাতিডিরে আইন্না দেও’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তারা। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকাল শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।

মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়