ওয়ান ওয়ে রাস্তায় দুর্ভোগ কমলেও আপত্তি ব্যবসায়ীদের
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তার দুইপাশে শুধুই বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিদিনই এখানে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন হাজার হাজার রোগী। কিন্তু রাস্তাটি সরু। তাই লেগেই থাকত যানজট। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাস্তার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিত।
এ সমস্যার সমাধানে দুপুরের পর থেকে রাস্তাটি শুধু ওয়ান ওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাস্তার দুই মুখে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে এলাকায় যানজট কমেছে। রোগীরাও স্বাচ্ছন্দ্যে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারেন। তবে এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ওই এলাকার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা। তাই রাস্তায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
রোববার (৩ মার্চ) লক্ষ্মীপুর এলাকায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকুও অংশ নেন। তিনি বলেন, রাস্তাটি শুধু ওয়ান ওয়ে হিসেবে ব্যবহার হবে বলা হলেও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। ওয়ান ওয়ে রাস্তায় তাদের গাড়ি দুই দিকে চললেও ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। ফলে সেই একই যানজট দেখা দেয়। মাঝে থেকে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ ওয়ান ওয়ে রাস্তায় আশপাশের এলাকার মানুষ লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজারে আর আসেন না।
লক্ষ্মীপুর বাজার ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর খান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির রাজশাহী শাখার উপদেষ্টা গোলাম সারওয়ার স্বপন, লক্ষ্মীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি মো. বাবলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরশাদ আলী হাবিবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রানা খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তারা ওয়ান ওয়ে বন্ধের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে ঝাউতলা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার অনির্বাণ চাকমা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণে রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে করা হয়েছে। কারণ, প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী-অ্যাম্বুলেন্স এই রাস্তায় ঢোকে। রোগীদের কথাও ভাবতে হয়, আবার ব্যবসায়ীরাও জনগণের অংশ। তাদের কথাও ভাবতে হবে। আমি তাদের ডেকেছি। বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।’
কেয়া/বকুল