বরগুনায় নির্যাতনে সাংবাদিকের মৃত্যু, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাংবাদিক তালুকদার মো. মাসউদ।
বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মো. মাসউদকে প্রেসক্লাবে আটকে রেখে নির্যাতনের পর মৃত্যুর অভিযোগে এনটিভি’র প্রতিনিধি সোহেল হাফিজসহ ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সাজেদা তালুকদার।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন- এনটিভি’র ক্যামেরাম্যান আরিফুল ইসলাম মুরাদ, ভোরের আকাশের কাসেম হাওলাদার, যমুনা টেলিভিশনের ফেরদৌস খান ইমন, সময় টেলিভিশনের সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ইউটিউবার ছগির হোসেন, ডিবিসি নিউজের মালেক মিঠু, ঢাকা মেইলের ওয়ালিউল্লাহ, বাংলানিউজের জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, সোহাগ হাওলাদার, এ এস এম সিফাত, শহিদুল ইসলাম শহিদ ও মোহনা টেলিভিশনের জাফর হোসেন হাওলাদার।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবের সদস্য মুশফিক আরিফের সাথে বরগুনা প্রেসক্লাবে গিয়ে ক্যারাম খেলা শুরু করেন তালুকদার মাসউদ। প্রেসক্লাবে ক্যারাম খেলতে দেখে এনটিভি’র বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ তালুকদার মাসউদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালি-গালাজ শুরু করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কের এক পর্যায়ে সোহেল হাফিজসহ অন্য আসামিরা প্রেসক্লাবের গেট বন্ধ করে মাসউদের ওপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। প্রায় এক ঘণ্টা প্রেসক্লাবে আটকে থাকার পর বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আলম প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার (২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, মামলা রুজু করার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ইমরান/ফয়সাল