ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডিসি-এসপি পরিচয়ে প্রতারণা করা ৬ জন গ্রেপ্তার

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৬ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৬:৫১, ৬ মার্চ ২০২৪
ডিসি-এসপি পরিচয়ে প্রতারণা করা ৬ জন গ্রেপ্তার

নিজকে কখনও জেলা প্রশাসক, কখনও পুলিশ সুপার, কখনও র‌্যাবের অধিনায়ক এবং জেল সুপারসহ নানা পরিচয়ে বিপদাপন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া চক্রের হোতা তোরাব আলী ওরফে রেজাউল করিম। যার নেতৃত্বে রয়েছে সংঘবদ্ধ চক্র। সেই রেজাউল করিমসহ ছয় জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫। 

সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের জে-টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৩৫ হাজার টাকা, পাঁচটি ম্যাজিক ডলার, একটি মাইক্রোবাস, আটটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুটি বাটন ফোন ও ১৪টি সিম কার্ড।

মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ারুল ইসলাম।

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চক্রের প্রধান কুতুবদিয়া উপজেলার লেমসেখালী এলাকার মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে তোরাব উদ্দিন শিকদার (৪০), চকরিয়ার উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. বাদশা (৩০), একই উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে তারেকুর রহমান (২০), আবুল কাশেমের ছেলে মো. জোবায়ের (২৩), মাহমুদ উল্লাহর ছেলে এমদাদ উল্লাহ মারুফ (২০) ও ইউনুস কবিরের ছেলে মিশকাত জান্নাত জুলি (১৮)।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রতারক চক্রটি কক্সবাজার জেলায় সক্রিয়। তারা কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের স্বজনদের টার্গেট করে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা জেলখানার গেট, আদালত ও থানা কেন্দ্রিক ছড়িয়ে থাকে। তারপর নিরীহ ব্যক্তিদের টার্গেট করে তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এরপরই মুঠোফোনে কল দিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাবের অধিনায়ক এবং জেল সুপার পরিচয় দিয়ে কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ফাঁদ তৈরি করে। এরপর বিকাশের মাধ্যমে বা মাঝে মধ্যে তাদের নির্ধারিত স্থানে ডেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ চক্রের সদস্য ২০ জন। তাদের হোতা তোরাব আলী। তোরাব আলী হতদরিদ্র ছিল। কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যান এই প্রতারণার মাধ্যমে। কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়ে এলাকায় করতেন সভা-সমাবেশ, থাকতেন প্রধান অতিথি। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাচনে নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবেও ঘোষণা দেন। এ সব বিষয় র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন তোরাব আলী।

আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, এই প্রতারক চক্রের এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ছয়জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের পর থানায় সোপর্দ করা হবেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।
 

তারেকুর/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়