ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৯ ১৪৩১

সরকারি বই উদ্ধার

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ৯ মার্চ ২০২৪  
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

রংপুরের পীরগাছায় বস্তাভর্তি ১১ মণ বই উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম ও ক্রেতা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ওই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বাদী হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে এক সহকারী শিক্ষককে বাদী করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানা হাট সংলগ্ন এলাকা থেকে বইগুলো উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম পলাতক। ফলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৪৪০ কেজি প্রাথমিকের নতুন বই বিক্রি করেন দক্ষিণ ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। এতে ১ হাজার ৯৬৪টি বই ছিল। ২০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৮০০ টাকায় বইগুলো কেনেন একই ইউনিয়নের দামুশ্বর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ভাঙরি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। বস্তায় ভরে বইগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ায় সময় স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে দেন। 

আরো পড়ুন:

খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন, সংশ্লিষ্ট কুটিপাড়া ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও বিট পুলিশের এসআই সামীউল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে যান। পরে বইসহ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে থানায় নেয় পুলিশ।

বাদী রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, এটিও স্যার আমাদের বস, তিনি যখন যা বলেন, তাই শুনতে হয়। না শুনলে আমাদের বিপদ। আমি বই বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাকে ডেকে নিয়ে একটি এজাহারে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। আমাকে এজাহারটি পড়ে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাকে যখন যেখানে যে কেউ জিজ্ঞাসা করলে আমি বলব, বই কে বিক্রি করেছে, কার কাছে বিক্রি করেছে আমি কিছুই জানি না। সব কিছুই এটিও আব্দুস সালাম স্যার জানেন। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) আব্দুস সালাম বলেন, সরকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার জন্য মামলা করেছেন। 

পীরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় ক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে আসামি করে মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

আমিরুল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়