ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

সাফারি পার্ক পেলো অর্ধশত চিত্রা হরিণ 

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ১০ মার্চ ২০২৪  
সাফারি পার্ক পেলো অর্ধশত চিত্রা হরিণ 

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৫০টি চিত্রা হরিণ দিয়েছে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতরের মাধ্যমে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার এ হরিণগুলো বিনামূল্যে গ্রহণ করেন।

গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের ভূমি উপদেষ্টা বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের সৌজন্যে ৫০টি হরিণ প্রদান করা হয়েছে। এতে অনেকে উৎসাহিত হবে। হরিণগুলোর মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হরিণগুলো দেওয়ার জন্য গত বছরের ২৪ আগস্ট বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদফতরে আবেদন করেছিলাম। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হরিণ প্রদানের অনুমতি পেয়েছি। প্রায় একযুগেরও বেশি সময় থেকে গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট সরকারি বিধি-বিধান মেনে হরিণ পালন করে আসছে। সঠিক পরিচর্যা ও পরিবেশ অনূকুলে থাকায় হরিণগুলো দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে। সাফারি পার্কের দর্শনার্থীর কথা চিন্তা করে ছোট-বড় ৫০টি হরিণ ওই পার্কে প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফকির মনিরুজ্জামানের পক্ষে তার চার ভাই হরিণগুলো প্রদান করেন। হরিণগুলোর মধ্যে ২২টি বড় এবং ২৮টি ছোট হরিণ রয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সাফারি পার্কে প্রাণী আবদ্ধ থাকে এবং ভিজিটররা উন্মুক্ত থাকে। হরিণগুলো একটি অংশের মধ্যে বিচরণ করে। রিসোর্টে থাকা অবস্থায় হরিণগুলো নির্দিষ্ট একটি বেষ্টনির মধ্যে ছিল। এখন হরিণগুলো উন্মুক্ত অবস্থায় থাকবে। এতে করে প্রাণীগুলোর রোগবালাই কম হবে। হরিণগুলো প্রথমে সর্বনিম্ন ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন শেডে রেখে দেখবো রোগবালাই আছে কি না।

ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) শারমিন আক্তার বলেন, হরিণ দ্রুত প্রজননক্ষম প্রাণী। হরিণের বংশ বিস্তার বেশ দ্রুত হয়। গ্রিন ভিউ গলফ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তাদের পালিত হরিণগুলো কোথাও বিক্রি বা দান না করে সরকারের কাছে প্রদান করেছে। আমরা চাই, এটার অনুকরণে অন্য প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসুক। সাফারি পার্কে হরিণগুলো সবসময় বিচরণ করবে, দর্শনার্থী, সর্ব সাধারণ এবং সর্ব পর্যায়ের দর্শক দেখবে, উপভোগ করবে এটা তাদের জন্য যেমন আনন্দের আমাদের জন্যও তেমন আনন্দের। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। অন্যরা আগ্রহী হবে এবং অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। সত্যিই এ উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয় এবং ভালো উদ্যোগ।

রফিক/ফয়সাল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়