কুষ্টিয়ায় ৫ দোকানিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

রমজানের প্রথম দিনে কুষ্টিয়ার বাজারে নেমেছিল অনেকগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং টিম। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা ছাড়াও শহরের ৫টি দোকানিকে অতি মুনাফার জন্য ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন তারা। তবে, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল বাজার থেকে চলে আসার পরপরই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা বলেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে কুষ্টিয়া পৌরবাজারে জেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, স্যানিটারি পরিদর্শকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থা কর্মকর্তারা বাজার মনিটরিং করছেন। তাদের খেজুর, তরমুজ, শসা, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা এবং আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। পরীক্ষা করতে দেখা গেছে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ। এরমধ্যে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত মূল্যে পণ্যবিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। 

এছাড়া, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের আদালত আরো ২ ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

এদিকে, বাজার থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল চলে আসার পরপরই ফল, শসা ও মুদির দোকানে আবার অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

এ বিষয়ে সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন বলেন, রমজান মাসজুড়েই আমরা মাঠে সক্রিয় থাকবো। প্রথম দিন সতর্ক করা হয়েছে। সামান্য জরিমানা করা হয়েছে। আমরা আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার ২ বছরের জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করতে যাচ্ছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে অতি মুনাফার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসবেন ব্যবসায়ীরা।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে আসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে।