ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

লৌহজং হাসপাতালে পানি‌র পরিবর্তে কী খাওয়ানো হলো‌, মৃত্যুসজ্জায় নারী

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ১৫ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:৫৯, ১৫ মার্চ ২০২৪
লৌহজং হাসপাতালে পানি‌র পরিবর্তে কী খাওয়ানো হলো‌, মৃত্যুসজ্জায় নারী

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে হাসপাতালের নার্সের দেখানো মতে পানি‌র পরিবর্তে ভুলে রোগীকে রাসায়নিক দ্রবন খাওয়ানোর কারণে নমিতা রাণী দাস (৩৮) নামে এক নারী এখন মৃত্যুসজ্জায়।

নমিতা রাণী দাস মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নিমাই সরকারের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকালে নমিতা রাণী দাসকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তার বড় ভাই বলরাম চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, আমার বোনের প্রস্রাব ইনফেকশন হওয়ায় গত ২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।  সেখানে অপারেশন করে প্রস্রাবের জন্য ক্যাথেডার লাগানো হয়। পরে বৃহস্পতিবার লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বোনের ক্যাথেডার খোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে ইমারজেন্সি কক্ষ থেকে তিন তলায় নিয়ে ক্যাথেডার খোলা হয়। সেখানে আমার বোন অসুস্থবোধ করলে কর্তব্যরত নার্স পানি খাওয়াতে বলেন এবং পানির বোতল দেখিয়ে দেন। নার্সের দেখিয়ে দেওয়া বোতল থেকে পানি পান করানোর পরেই আমার বোনের গলা মুখ পুড়ে যায়। পরে আমরা জানতে পারি নার্স যে বোতল দেখিয়ে দিয়েছে সেটিতে  রাসায়নিক দ্রবন ছিলো। আমাদেরকে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয় আমার বোনের অবস্থা ভালো না। আমরা দ্রুত হাসপাতালে গেলে আমার বোনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিইউতে রেফার করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বলরাম চন্দ্র দাস আরও জানান, আইসিইউতে রেফার করলেও  ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখানো কোন সিট পাইনি। বারান্দায় আমার বোনকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। অথচ আমার বোনের অবস্থা বেশি ভালো না। তবে কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আমরা করিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আমার বোনের জামাকাপড়ে যেসব রাসায়নিক পদার্থ লেগেছিলো সেগুলো নিয়ে আমার আরেক বোনকে লৌহজং উপজেলা ইউএনও জাকির হোসেনের কাছে পাঠিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এর কঠিন পদক্ষেপ নিবেন।

এ ব্যাপারে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন রাত ৯ টার দিকে  বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে সে আমার হাসপাতালে কোনো ভর্তি রোগী ছিলো না এবং আমার হাসপাতালের কোনো ডাক্তারও ওই নারীর চিকিৎসা করে নাই। শুধু একটা নার্স দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। আমি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রতন/টিপু 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়