ঝালকাঠিতে আজও মুরগি বিক্রি করছে না বিক্রেতারা
ঝালকাঠি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঝালকাঠির বাজারে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও (১৮ মার্চ) মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছে বিক্রেতারা। শহরের বাজারে দুই দিন ধরে মুরগির সংকট তৈরি হয়েছে। ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালীসহ কোনো জাতের মুরগিই মিলছে না বাজারে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
মুরগির সংকট দূর করতে একটি খামার থেকে মুরগি এনে শহরের চাঁদকাঠি বাজার এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট দাঁড়িয়ে থেকে সরকার নির্ধারিত দামে মুরগি বিক্রি করিয়েছেন। ব্রয়লার ও সোনালী জাতের ২০০ মুরগি এ সময় বিক্রি করা হয়। ব্রয়লার ১৭৫ টাকা এবং সোনালী প্রতিকেজি ২৬২ টাকা করে বিক্রি করেন এক খামারি। এতে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও অনেকে মুরগি না পেয়ে ফিরে গেছেন।
বিক্রেতারা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দামের কারণে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি পাইকারি বিক্রি করছেন না খামারের মালিকরা। তাই বাজারের দোকানে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি যে দামে মুরগি কেনা হয়, প্রশাসন তার চেয়েও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে। বেঁধে দেওয়া দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান বিক্রেতারা। তাই আপাতত মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তারা।
মুরগির খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা বাজারে মুরগি উঠাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। মুরগি কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে ক্রেতাদের।
ঝালকাঠির কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে। বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অলোক/বকুল