ঢাকা     রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২ ১৪৩১

ধর্ষণ মামলায় আদালতে মামুনুল হক, তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ১৯ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৯:৪৪, ১৯ মার্চ ২০২৪
ধর্ষণ মামলায় আদালতে মামুনুল হক, তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সফেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দফায় জেরা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে জেরা করা হয় তাকে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আরও একদিন জেরার করার জন্য সময় চাইলে আদালত আগামী ২৩ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এদিকে, আদালতে এদিন মামুনুল হক জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে, আজ সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। ক্র্যাচে ভর দিয়ে মামুনুল হক আদালতে আসেন। জেরা শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শফিকুল ইসলামকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেছি। জেরায় তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। যৌনক্রিয়ার আলামত তিনি সংগ্রহ করেননি। আমরা আজ তাকে ৭০ থেকে ৮০টি প্রশ্ন করেছি। তিনি একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তিনি শুধু বলেছেন জানি না, মনে নেই। এতে বুঝা যায় এটা গোঁজামিলের তদন্ত, দায়সারা তদন্ত। এটা একটি মিথ্যা মামলা।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই মামলায় মামুনুল হকের জামিন চেয়েছিলাম। যেহেতু তিনি অনেকদিন ধরে কারাগারে আছেন। আমরা মানবিক কারণে জামিন চেয়েছিলাম। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন। আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি আমরা ন্যায়বিচারের স্বার্থে জামিন পাব।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিপক্ষ ইচ্ছা করেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য বারবার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করছে। এই পর্যন্ত তারা তিনদিন জেরা করেছে। আরও একদিন সময় চেয়েছে। সচরাচর একদিনের জেরাই যথেষ্ট হয়ে যায়। রায় তাদের বিপক্ষে যাবে, এজন্য তারা দেরি করছে। এখন পর্যন্ত যারা স্বাক্ষী দিয়েছেন সবাই মামুনুল ধর্ষণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুলকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে, ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়