ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

চাঁদপুরে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৩ মার্চ ২০২৪  
চাঁদপুরে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

চাঁদপুর শহরের আল-মানার হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক ডা. তাবেন্দা আক্তারের অবহেলার কারণে সিজারে জন্ম নেওয়া দুই দিন বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। 

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের মিশন রোডস্থ হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার ২০৫ নম্বর কক্ষে ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়।

নবজাতকের মা সুমি আক্তার (২৭)। তিনি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিশকাটালি গ্রামের কাজী বাড়ীর মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মিজান ময়মনসিংহে দিন মজুরের কাজ করেন। 

আরো পড়ুন:

মৃত নবজাতকের ফুফু লুৎফুর নাহার বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত নিতে গত ২১ মার্চ এই হাসপাতালে সুমি আক্তার ভর্তি হন। আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী তার সন্তান জন্মের তারিখ ছিল আগামী ২৬ এপ্রিল। আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক সাহিদা সুলতানা দ্বিতীয় সিজার হিসেবে ১০ এপ্রিল তারিখ দেন। ওই তারিখ আসার আগেই প্রয়োজনীয় সব ধরণের পরীক্ষা ছাড়াই গাইনি চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার সিজার করেন।

তিনি আরও বলেন, সিজারের আগে চিকিৎসক পরিবারের লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। আমাদের আত্মীয়ের মধ্যেও চিকিৎসক আছেন। তিনি কেন অতিঝুকিঁপূর্ণ হওয়া রোগীর সিজার করলেন। তারা তাড়াহুড়া করে কেন ১ মাস আগে সিজার করলেন। তখনই আমি বলেছি, অপরিপক্ক বাচ্চা বাঁচানো যায় না। এই ধরণের চিকিৎসকের বিচার হওয়া উচিৎ।

অভিযুক্ত চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার বলেন, সিজারের পর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের মৃত্যু হয়নি। দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে এখানে চিকিৎসকের কিছু করার নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দেবে।

আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক অহিদুর রহমান বলেন,  চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তার (চিকিৎসক) কাছে তারা যেতে পারেন। শিশুর অবস্থার অবনতি হলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু, তারা (নবজাতকের পরিবার) ঢাকায় না নিয়ে হাসপাতালে থেকে যান। আমাদের সঙ্গে রোগীর আত্মীয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালের পাওনা পরিশোধ করে রোববার রোগীকে নিয়ে যাবেন।

এদিকে, ঘটনাটি জানার পর চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি রোগী ও হাসপাতাল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়