ঢাকা     বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১

‘দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা’

মুহাম্মাদ তাওহিদুল ইসলাম, পিরোজপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ২৭ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৬:৪৯, ২৭ মার্চ ২০২৪
‘দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা’

পিরোজপুরের একটি তরমুজের দোকান

দোকানে সারি সারি সাজানো রয়েছে তরমুজ। অথচ, সুমিষ্ট এই ফলটি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় নেই দোকানগুলোতে। ক্রেতা না পেয়ে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, মৌসুমের শুরুতে বাজারে তরমুজ উঠলেও দাম বেশি থাকায় সাধারণ মানুষজন ফলটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

পিরোজপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট আকারের তরমুজ ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের তরমুজ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং বড় আকারের প্রতি পিস তরমুজ ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

তরমুজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে তরমুজের ক্রেতা অনেক কম। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছি। এরপরও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। দোকানে পর্যাপ্ত তরমুজ থাকলেও তা বিক্রি করতে পারছি না। ছোট বড় মিলিয়ে গড়ে প্রতি পিস তরমুজ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে আমাদের। 

আরো পড়ুন:

মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী মো. নেওয়াজ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে পাইকারি দরে তরমুজ কিনি। কিন্তু, এবার আড়ত থেকে বেশি দামে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। সেখান থেকে ছোট বড় মিলিয়ে প্রতি পিস তরমুজ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা দরে কিনে আনতে হচ্ছে। তাই দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা। বাড়তি দামের কারণে একেবারে ক্রেতা নেই তরমুজের।

জেলার পুরান স্ট্যান্ড নিবাসী ইকবাল আহম্মেদ সবুজ বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। একটা বড় আকারের তরমুজ কিনতে গেলে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা লাগে। একজন নিম্নআয়ের মানুষের পক্ষে তরমুজ কেনা এখন স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে। তরমুজের দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে হলে ভালো হয়।

জেলার ইন্দুকানীর তরমুজ ব্যবসায়ী মিরাজ বলেন, আমরা যেভাবে কিনি, সেইভাবে বিক্রি করতে পারি না। কারণ অনেক তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে লেবার এবং যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ায় একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয় তরমুজ।

তিনি আরও বলেন, রমজান মাসের কারণে কৃষকরা তরমুজ জমিতে পরিপক্ক হওয়ার আগেই বাজারে বিক্রি করছেন। সেই কারণে অনেক তরমুজের ভেতরে সাদা পাওয়া যাচ্ছে।  চলতি বছর তরমুজের প্রচুর ফলন হয়েছে। আস্তে আস্তে তরমুজের দাম কমে যাবে।

জেলার নাজিরপুরে তরমুজ ব্যবসায়ী মো. রাসেল বলেন, বাজারে তরমুজের আদমানি বেড়েছে। দামও আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তারপরেও এই ফলটির  বিক্রি নেই। সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মাত্র একটি তরমুজ বিক্রি করেছি। যেটি বিক্রি করেছি সেটির দাম ১৮০টাকা।

পিরোজপুর জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব বলেন, রমজানে পানীয় ফল হিসেবে তরমুজের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এবার রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের দাম বেশি। যে কারণে, বেশি টাকা দিয়ে তরমুজ নিতে চাচ্ছেন না ক্রেতারা। বাজারে এখন আর কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না ফলটি।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়