ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

বেতন বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকরা আজও বিক্ষোভে

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ২ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১৪:০৭, ২ এপ্রিল ২০২৪
বেতন বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিকরা আজও বিক্ষোভে

গাজীপুর মহানগরীর জরুন এলাকায় কেয়া নিট কম্পোজিট পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। 

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল)  সকালে গতকালের ন্যায় শ্রমিকরা কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। পরে ১০ টায় শিল্প পুলিশ এসে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান করছেন। 

জানা যায়, কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের কেয়া স্পিনিং মিলস্, কেয়া কটন, কেয়া ইয়ার্ন মিলস, কেয়া নিট কম্পোজিট, কেয়া ডাইং অ্যান্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকস শাখায় প্রায় আট হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। 

শ্রমিকরা জানান, গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন, ঈদের বোনাস তারা কিছুই পাননি। গত মাসের ২২ তারিখে দেওয়ার কথা ছিল, তাও কথা রাখেনি। এদিকে স্টাফদের বেতন আরও বেশ কয়েক মাস ধরে বকেয়া রয়েছে।  সামনে ঈদ তাই  তাদের আন্দোলন ছাড়া কিছু করার নেই। এছাড়াও গত ২ বছরের ছুটির টাকাও পাওনা রয়েছে। 

এদিকে, গতকাল আন্দোলনের মুখে বিকেলে শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। এর পরও তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যায়। ইফতারের পর স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সাথে কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড এর গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা একতাবদ্ধ হয়ে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রেখে। রাত ১১ টা সময় রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু মূল ফটকে নাইট শিফট এর শ্রমিকরা অবস্থান নেয়। 

মারুফ নামে এক শ্রমিক জানান, আন্দোলন করা হলে কেয়া স্পিনিং মিলস্, কেয়া কটন, কেয়া ইয়ার্ন মিলসে ঈদ বোনাস দিয়েছে। তবে কেয়া নিট কম্পোজিট (গার্মেন্টস) কেয়া, ডাইং অ্যান্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকসে ঈদ বোনাস দেয়নি। এরজন্য আন্দোলন, বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। 

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ( কাশিমপুর জোন) এএসপি দিপক চন্দ্র মজুমদার জানান, ওই কারখানা শ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে গতকাল থেকে আন্দোলন করছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তবে তারা বলছে বকেয়া পরিশোধ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। 

সালেহা নামে এক শ্রমিক বলেন, আমরা কাজ করতে এসেছি, আন্দোলন করতে আসিনি। পেটের ক্ষুধায় আন্দোলন করছি৷  বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। 

এবিষয়ে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া জানান, কারখানা শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও বোনাস আমাদের কাছে পাবেন। তাদেরকে দেওয়া হবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল কিছু সেকশনে বোনাস দেয়া হয়েছে।

রেজাউল/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়