সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি
১৪ ঘণ্টা পরও উদ্ধার হয়নি অপহৃত ম্যানেজার
বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নিজাম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রশাসন ভবনে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পরও অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালো রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
অভিযান অব্যাহত আছে উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পড়ুন: টাকা ও অস্ত্র লুট, ম্যানেজারকে অপহরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ইফতারের পর নামাজ পড়তে যান সোনালী ব্যাংকের রুমা উপজেলা শাখার কর্মচারীরা।রাত সাড়ে ৮টার দিকে অস্ত্রধারীরা ব্যাংকে আক্রমণ করে। তাদের একটি গ্রুপ কমপ্লেক্স ভবনের মসজিদে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। সে সময় মসজিদে ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা ও অন্য মুসল্লিরা তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। সন্ত্রাসীরা সবাইকে বন্দী করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
ব্যাংকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্যরা
এ সময় পাহারায় থাকা আনসারের চার সদস্যের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর তারা ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে লকার ভেঙে টাকা লুট করে। ব্যাংক থেকে টাকা লুটের পাশাপাশি ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসি (ল্যান্ড) দিদারুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংক লুটের সঙ্গে পাহাড়ে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে।
সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আানসার ভিডিপির) অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মো. ওসমান গণি জানান, তাদের রুমা শাখার ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে ডাকাতরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর বান্দরবান অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত সাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদ রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।
/চাই মং/এসবি/