ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

খুলনার জুটমিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩২, ৩ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ০৮:৩৯, ৪ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার জুটমিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট

খুলনার রূপসায় সালাম জুটমিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট। তবে, এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিলটিতে রপ্তানি উপযোগী ৭৫০ টন পাটজাত পণ্য পুড়ে গেছে। 

এর আগে, বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রূপসা উপজেলার ৩ নম্বর নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা চৌরাস্তার কাছে অবস্থিত পাটকলটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।

খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মামুন মাহমুদ রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

আরো পড়ুন:

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদির বলেন, বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও ৮টি ইউনিট যুক্ত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট ১৬টি ইউনিট কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুকনো পাট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের বেগ পেতে হচ্ছে। সেখানে রপ্তানিযোগ্য পাটজাত পণ্য মজুত করা ছিল। ২০১২ সালের দিকে সালাম জুট মিলটি চালু হয়। মূলত: পাটের সুতা উৎপাদন করা হতো এখানে। প্রথমে জুটমিলটির ৩ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে বিভিন্ন গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

মিল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মিলটিতে উৎপাদিত সাড়ে ৭০০ টন সুতা মজুত ছিল। মিলটিতে সাড়ে ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন।

পাটকলের শ্রমিকরা জানান, বিকেলে হঠাৎ করে জুট মিলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর ২টি ইউনিট। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম বলেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য, প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইনস্যুরেন্স করা ছিল।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে ১৬ মোট টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুন এখনো জ্বলছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।

নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়