ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

‘এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না’ বলার পরই তুলকালাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ৭ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ১০:২৩, ৭ এপ্রিল ২০২৪
‘এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না’ বলার পরই তুলকালাম

‘এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না’ গ্রামের একজন মসজিদে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করার সঙ্গে সঙ্গেই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন মোল্লাবাড়ির মহিউদ্দিন মোল্লা। শুক্রবার এশা ও তারাবির নামাজ শেষে ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিছকি বাড়ির শফিকুর রহমান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।

মসজিদের ইমাম মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবি শেষে শফিকুর রহমান দুই মিনিট কথা বলতে অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। পরে তিনি এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে মন্তব্য করলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুর রহমানের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়।

অভিযোগের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, তারাবি শেষে অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু জরুরি মাসআলার বিষয়ে ইমাম ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এতে ইমাম ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ইমাম স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসাটির নামকরণ নিয়ে মোল্লাবাড়ি ও কিছকি বাড়ির লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মসজিদে মাসআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাত বলেও দাবি তাদের।

আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্য সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

মাইনুদ্দীন/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়