পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত, নিহত ২
পিরোজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড়ের খণ্ডচিত্র।
পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকশত বাড়িঘর লন্ডভন্ড হওয়াসহ গাছ চাপায় এক নারী ও ঝড়ো বাতাসে উড়ে গিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালের দিকে এমন ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামের ব্যবসায়ী মেরাজ হোসেনের স্ত্রী রুবী বেগম (২২) ও একই ইউনিয়নের উত্তর রানীপুর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কানাই লাল পালের ছেলে অনিল পাল (৮০)।
জানা গেছে, সকাল পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। পরে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় দমকা বাতাস ও ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের এ ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে গিয়ে কয়েকশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় সকল সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এসময় পৌর এলাকার নিকটবর্তী শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে একটি ঘরে গাছ চাপা পড়ে রুবী বেগম নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় ওই গৃহবধুর মেহেজাবিন নামের ৬ বছরের একটি কন্যা শিশুও গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ি ফিরবার পথে বাতাসে উড়ে গিয়ে একই এলাকার অনিল পাল’র মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রমজান আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবি নামের এক গৃহবধু ও তার কন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়। আর তার কন্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার শারিকতলা ইউপি চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, ঝড়ের সময় চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসলে অনিল পাল নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তাকে দমকা বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে ওই এলাকার নলবুনিয়া খালে ফেলে দেয়।
এদিকে সকাল থেকে পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ঝড়ে গাছ চাপায় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। অন্যজনকে পানিতে পাওয়া গেছে বলে শুনেছি। তবে তাকে দমকা বাতাস ওই খালে নিয়ে যেতে পারে।
তাওহিদুল/ফয়সাল
