নাবিক এবং জাহাজ উদ্ধারে অল্প সময়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, শিগগির তাদের মুক্ত করতে পারব। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।’
বুধবার (১০এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন ও নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল, সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারব।
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রী সভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ংকর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা। এটিকে নিমূল করার জন্য সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, দেশে রমজান মাস শুরুর আগে এবং রমজান মাসের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সক্রিয় হয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে।
রেজাউল/মাসুদ