ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

যুবককে হত্যা: বিচার চেয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শরীয়তপুর সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৬ এপ্রিল ২০২৪  
যুবককে হত্যা: বিচার চেয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শরীয়তপুরের জাজিরায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ককটেলের বিস্ফোরণে সজিব মুন্সী নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়া চাঁন মুন্সী কান্দি নিহত সজিবের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

পরে মিয়া চাঁন মুন্সী কান্দি গ্রামের লোকজন একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিলে মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মহরখাঁর কান্দি এলাকায় জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক এবং সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

তবে পরিবারের অভিযোগ, পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন ককটেল নিক্ষেপ করে সজিব মুন্সীর পেটের নাড়িভুঁড়ি বের করে দেন। স্থানীয়রা সজিব মুন্সীকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। পরে ২ এপ্রিল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সজিবের মৃত্যু হয়। পরে ৫ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারীসহ ৬৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত সজিবের ভাই সুমন মুন্সী।

নিহত সজিব মুন্সীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে ওরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যা করেছে। আমার একটা ছেলে শিশু বয়সে তার বাবাকে হারালো। এখন আমাদের কি হবে? যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি দাবি করছি।

নিহত সজিব মুন্সীর বড় ভাই সুমন মুন্সী বলেন, গত ২৫ মার্চ রাতে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও তার বাহিনী নিজ বাড়িতে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশে একটি সভা করে। পরদিন আমাদের বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যান কুদ্দুস বেপারী ও তার লোকজন। ২৭ মার্চ বিলাসপুর বাজারে একটি ইফতারের দাওয়াত ছিল। ইফতার করে মাগরিব ও তারাবি নামাজ শেষে আমরা কয়েকজন বাড়ির দিকে আসছিলাম। হঠাৎ কুদ্দুস বেপারী, ফারুক হাওলাদার, সিদম বেপারী, নুরুল ইসলাম বেপারী, মামুন মাদবরসহ ৭০/৮০ জন লোক আমাদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে আমার ভাই সজিব মুন্সীর পেটে লেগে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। আমার ভাইকে কুদ্দুস বেপারীরা হত্যা করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি, ধাওয়া দিতে গিয়ে জলিল মাদবরের ওই লোকটা বোমা নিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়েছিল। এরপর বোমা বিস্ফোরণ হয়ে প্রথমে আহত হয় ও পরে মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, সজিব মুন্সীর মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই একটি মামলা করেছেন। মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিরা পলাতক।

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সজিব মুন্সীর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, মা নুরুনন্নাহার বেগম, বাবা আলী মুন্সী, বড় ভাই সুমন মুন্সী, ছোট বোন সুমী ও ছোট ভাই সিফাত।

/সাইফুল/এসবি/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়