অসুস্থ বাবাকে দেখতে যেতে চাওয়ায় স্বামীর লাথিতে প্রাণ গেলো বীথির

অসুস্থ বাবাকে দেখতে বাপের বাড়ি যেতে চাওয়ায় বীথি বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মৃত্যু হয় তার।

বীথি বেগম উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের রতন শেখের মেয়ে। প্রায় ১৫ বছর আগে একই উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের তামারহাজি গ্রামের নজির সেখের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে বাবার অসুস্থতার খবরে বাপের বাড়ি আসতে চায় বীথি। কিন্তু যৌতুকলোভী স্বামী সাখাওয়াত এতে বাধ সাধেন। এ নিয়ে বীথি জেদ ধরলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান পাষাণ স্বামী। এ সময় বীথির তলপেটে লাথির আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ঘটে ও অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে মৃত ভেবে সাখাওয়াত ঘরে থাকা কীটনাশক স্ত্রীর মুখে ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে বীথির মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, মরদেহের সুরতহাল করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।