পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, ওই ইউনিয়নের ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় রোববার রাতে দুটি মামলা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করে। এর একটিতে চেয়ারম্যান ভুলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মামলায় নাম না জানা আসামি করা হয়েছে ৪০০-৫০০ জনকে। আরেকটি মামলাতেও একই সংখ্যক ব্যক্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর লোকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন। এসময় রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলমের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড গ্যাস সেল এবং দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সদর থানার (উপ-পরিদর্শক) কাউসার বাদী হয়ে নাম না জানা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

একই সময় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাধা দেয়। সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুলুকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং নাম না জানা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার বাদী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান ভুলু এবং নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।