অসহনীয় দাবদাহে বিপর্যস্ত পাবনার জনজীবন, হাসপাতালে ভর্তি ৪০
পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে আখের রস পান করছে এক শিশু
অসহনীয় তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের অবস্থা শোচনীয়। বাগানের আম-লিচু ও খেতের ধানসহ বিভিন্ন ফসলে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে গরমের। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি জনিত রোগে আক্রান্ত ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। বাতাসের আদ্রর্তা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ শতাংশ। এর আগে, গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে পাবনা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। জেলায় অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম বলেন, গরমে শিশু ও বয়স্করা বেশি রোগ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছায়া ও শীতল স্থানে থাকা, বেশি পরিমাণে পানি পান, রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, গরমে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে৷ গাছের গোড়ায় বেশি করে সেচ দেওয়া ও ফলের গুটিতে পানির স্প্রে দিতে হবে কৃষকদের। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।
শাহীন/মাসুদ