লোকবল বৃদ্ধি পেলে ভোক্তা অধিদপ্তর নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে: ডিজি
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজার পরিদর্শনে গিয়ে চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথ বলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তরের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো সঠিক তথ্যের অভাব। তাই, সবাইকে আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। ভোক্তা অধিদপ্তরের কিছু দুর্বল আইনী কাঠামোও রয়েছে। যার কারণে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। লোকবল ও আইনী কাঠামো বৃদ্ধি পেলে ভোক্তা অধিদপ্তর আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে।’
শনিবার (৪ মে) কুমিল্লার রাজগঞ্জ বাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সফিকুজ্জামান বলেন, ভোক্তাদের অধিকার সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে হলে, আমাদেরকে সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ভোক্তা অধিদপ্তর সব সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে, আলু ও পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে এই বিষয়ে আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এছাড়াও, পশু জবাইখানাগুলোতে যাতে সুস্থ গরু জবাই করা হয়, সেই বিষয়ে নজরদারি রাখা হবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাজার পরিদর্শন করে দেখেছি, আখের চিনির নামে অখাদ্য বিক্রি হচ্ছে তাও চড়া দামে। এটা নিয়ে আমরা ব্যবস্থাও নিয়েছি। বিএসটিআইকেও জানিয়েছি। বাংলাদেশে যে আখের চিনি উৎপন্ন হয় তার অধিকাংশই চলে যায় বিভিন্ন বাহিনীদের জন্য। বাজারে যেটা বিক্রি হয়, সেটা পুরোই অখাদ্য। আমাদের পাশের দেশ থেকেও অনেক নিম্নমানের চিনি ঢুকছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই নিম্নমানের চিনিগুলোই প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছে। আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান করছি। প্রশাসনের এগুলো নিয়ে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই রোধ করা সম্ভব হবে। হাইওয়ের পাশে যে রেস্টুরেন্টগুলো রয়েছে, সেগুলোতে নিম্নমানের খাবার বিক্রি হয়। আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কাজ করবো।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বিএম মশিউর রহমান, কুমিল্লার নিরাপদ খাদ্য অফিসার ইয়ামিন হোসেন, বিএসটিআই-এর উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক, রাজগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও জেলা পুলিশের সদস্যরা।
রুবেল/মাসুদ