ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমন্বিত তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২০, ৬ মে ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩৪, ৬ মে ২০২৪
সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমন্বিত তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে। শনিবার দুপুরের দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর জানার পর দুই দফা বিরতি দিয়ে রোববার তৃতীয় দিনের মতো চলেছে আগুন নেভানোর অভিযান।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা। তবে এ তদন্ত কমিটি আসলেই সঠিক কারণ অনুসন্ধান করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছে পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’র (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও অসাধু বন কর্মীদের যোগসাজশে বনের অভ্যন্তরে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড দেখা গেছে। আমরা এসব অগ্নিকাণ্ডের জন্য বনবিভাগকে দায়ী করছি।

বন বিভাগের নিজস্ব তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যেখানে বন বিভাগের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ সেখানে কেবলমাত্র বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তিন সদস্যের এ কমিটি সুন্দরবনের আমুরবুনিয়ার অগ্নিকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই সুন্দরবনের অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বন্ধে বনবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পরিবেশ কর্মী, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

এ ছাড়া সুন্দরবনে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড বন্ধের দাবিতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির সামনে রোববার দুপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সদস্যরা।

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ, স্থানীয় জনগণ, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবনের মধ্যে মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে সুন্দরবন আজও গুরুত্বহীন। সুন্দরবন অক্সিজেন ও কার্বনের এক সুবিশাল ভান্ডার। প্রাণির জীবন ধারক অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দরবন স্থানীয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ সুন্দরবনে মানব সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ড বন্ধে বন সংশ্লিষ্ট সকল পেশাজীবীদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

শহিদুল/ফয়সাল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়