ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

শেরপুর পৌর মেয়রের পর আরও ২ জন বরখাস্ত

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ১৩ মে ২০২৪  
শেরপুর পৌর মেয়রের পর আরও ২ জন বরখাস্ত

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল

দুর্নীতির অভিযোগে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার মেয়র জানে আলম খোকার পর এবার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত দুটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। 

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, ধুনট মোড় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন একটি দোকান বরাদ্দের সেলামি বাবদ ২ লাখ টাকা এবং একই এলাকার বাইতুন নূর জামে মসজিদ সংলগ্ন জমি ইজারার পাঁচ লাখ টাকা শেরপুর পৌরসভা ফান্ডে জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরোজ মুজিব ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েল এই ৭ লাখ টাকা ফান্ডে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ করা হলে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। পরিপ্রেক্ষিতে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, তারা প্রজ্ঞাপনের কপি ওয়েবসাইটে দেখে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

তবে টাকা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করে ইমরোজ মুজিব বলেন, তার স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করেছে অন্য কেউ। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জবাব দেবেন তিনি।

কাউন্সিলর ফিরোজ উদ্দীন আহমেদকে মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হয়, কিন্তু তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। 

এর আগে রোববার (১২ মে) উপসচিব মো. আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে মেয়র মো. জানে আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে পৌরসভার দোকান বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাৎ, বিধিবহির্ভূতভাবে বাস টার্মিনালের ইজারা মওকুফ, অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মাস্টাররোলে কর্মচারী নিয়োগ, জিপ গাড়ি মেরামতের নামে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ, ২২৮টি দোকান বরাদ্দ না দেওয়া, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম, পৌরসভার গৃহকর মূল্যায়নে দুর্নীতি, ইমারত ও ভূমির ওপর অতিরিক্ত কর আদায়সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। 

এনাম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়