ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ভূমি অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৬ মে ২০২৪  
ভূমি অফিসের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ

উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার

গাজীপুর সদর উপজেলায় চা বিক্রেতা সেলিম মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মির্জাপুর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বারের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ভূমি অফিসের ভেতরে বৃদ্ধকে মারধর করা হয়। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া বলেন, আমি মির্জাপুর বাজারে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার দোকানটি ভূমি অফিসের সাথে হওয়ায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে চা বিক্রিসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে থাকি। আজ দুপুরে ভূমি অফিসের নায়েব স্যার আমাকে বাইরে থেকে কিছু কাগজ এনে দিতে বলে। পরে কাগজগুলো স্যারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল জাব্বার স্যার এসব কাগজের বিষয়ে জানতে চায়। আমি লেখাপড়া জানি না। তাই এগুলো কিসের কাগজ বলতে পারি নাই। তাই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সেলিম মিয়া একজন সাধারণ চা বিক্রেতা লেখাপড়া জানেন না। সকলে তাকে দিয়ে টুকিটাকি কাজ করায়। সরকারি একজন চাকরিজীবী ভূমি অফিসের ভিতরে একজন বয়স্ক মানুষকে এভাবে মারধর করাটা অন্যায় হয়েছে। সে কোনো অপরাধ করলে তাকে বিচারের আওতায় আনা যেত। তাছাড়া উপ-সহকারী জাব্বারের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সে কোনো কাজ করার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেন, না হলে কাজ করে দিতে চান না।

মির্জাপুর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন, আমি তাকে বাহির থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্প এনে দিতে বলেছিলাম। সরকারি কোনো কাগজপত্র তার হাতে দেওয়া হয়নি।

মারধরের অভিযোগের বিষয়ে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল জাব্বার বলেন, সেলিম মিয়া আমাদের ভূমি অফিসের কর্মচারী না। তার কাছে সরকারি কাগজপত্র দেখার পর জিজ্ঞেস করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকসানা খাইরুন নেছা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখে তারপর ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইবরাহিম খলিল বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেজাউল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়