ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

বাগেরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০০, ১৬ মে ২০২৪  
বাগেরহাটে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন

বাগেরহাটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম অহিদুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এস এম অহিদুজ্জামান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এসময় চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামীম, সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিউটি আক্তারসহ প্রার্থীর সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

আনারস প্রতীকের প্রার্থী এস এম অহিদুজ্জামান বলেন, যেখানে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, সেখানে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী অশোক বড়াল স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে। সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন তাকে মনোনয়ন দিয়েছে এমন প্রচারণা করছেন। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা ডেকে সকলকে অশোক বড়ালের প্রতীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করাসহ অন্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এসব কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আমি নির্বাচন ও ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারবে না বলে বিধান থাকলেও, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ফিরোজুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী অশোক বড়ালের পক্ষে প্রচারণা করছেন। অশোক কুমার বড়াল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাধে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, টিআর, কাবিখা, পানির ট্যাংকি ও সরকার প্রদত্ত জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন ভাতাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও লুটের রাজত্ব কায়েম করেছেন।

এ ছাড়া অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধেও প্রপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন ভোট বর্জনকারী এই প্রার্থী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অশোক কুমার বড়াল বলেন, আমি কখনও বলিনি এমপি সাহেব আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি শুধু বলেছি আওয়ামী লীগের নেতারা আমার সাথে আছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলা হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অরবিন্দু বিশ্বাস বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাকে শোকজ দিয়ে নির্বাচনি কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছি। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এখন নির্বাচনি কাজ করছেন না। এ ছাড়া অন্য কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

আগামী ২১ মে’র নির্বাচনে চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জনসহ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শহিদুল/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়