ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ফিরলেন নাবিক সাব্বির, দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে বরণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ১৭ মে ২০২৪  
টাঙ্গাইলে ফিরলেন নাবিক সাব্বির, দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে বরণ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৬ দিন পর সাব্বির হোসেন টাঙ্গাইলে তার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করা হলো সাব্বিরকে। 

সাব্বিরের বাড়ি ফেরায় পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। তাকে দেখতে বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী ভিড় করছেন বাড়িতে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাঙ্গাইল শহরের আদালত পাড়া বড় বোন মিতু আক্তারের বাসায় পৌঁছান নাবিক সাব্বির হোসেন। পরে দুধ দিয়ে গোসল করান সাব্বিরকে। এরপর ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ও মিষ্টি মুখ করার সাব্বিরের মা ও বোন। এরপর নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া নিজ গ্রামে ফিরেন। 

হারুন অর রশীদ ও সালেহা বেগম দম্পতির ছোট ছেলে সাব্বির। 

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বরে এসে পৌঁছান ২৩ নাবিক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাব্বির নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে থেকে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইল শহরের কাগমারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে সর্বশেষ গত বছরের ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন। 

সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার বলেন, ঈদের সময় সাব্বির আমাদের পাশে ছিল না। যে সময়টা আমরা সব সময় চিন্তায় ছিলাম। ঈদে আমরা আনন্দ ভোগ করতে পারি নাই। আল্লাহ আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে হাজার শুকরিয়া। সাব্বির আমাদের কাছে এসেছে এখন আমাদের ঈদ। 
 
সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, আজকে আমাদের অনেক খুশি। এই খুশিতে চোখে পানি ভাসছে। দেশবাসীসহ সবার দোয়া ছিল। দশের দোয়ার সাথে আমাদের দোয়াও ছিল আজ সাব্বির আমাদের কাছে ফিরে আসছে, আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া। 

নাবিক সাব্বির হোসেন বলেন, মুক্তি আগের দিন থেকে মুক্তির পরের দিন পর্যন্ত আমাদের ঘুম হয়নি। আমরা এতোটা উত্তেজিত ছিলাম এতোটা খুশি ছিলাম। মুক্তি পাওয়ার পর সবাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি, কোলাকুলি করেছি। সবাই কান্নাকাটি করেছি। 

তিনি জিম্মি হওয়ার বর্ণনা দেন, যেদিন জলদস্যুদের কবলে পড়ি তখন আমি ডিউটি শেষ করে কেবিলে চলে গেছি। ওই সময় যারা ডিউটি অফিসার ছিল তারা স্পিকারে ঘোষণা দেয় যে সন্দেহজনক পাইরেস আমাদের দিকে এপ্রোচ হচ্ছে। সে সময় আমরা সবাই ব্রিজে চলে যাই। তারপর আমাদের ক্যাপ্টেন স্যারসহ অফিসাররা ছিল, তাদেরকে জিম্মি করে। পরর্বতীতে আমরাও আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হই। আজ বাবা-মা বোনসহ সবাইকে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে।

কাওছার/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়