ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

বেলকুচির মেয়রকে মারধরের অভিযোগ এমপির এপিএসের বিরুদ্ধে 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৬, ১৭ মে ২০২৪   আপডেট: ২১:০৮, ১৭ মে ২০২৪
বেলকুচির মেয়রকে মারধরের অভিযোগ এমপির এপিএসের বিরুদ্ধে 

বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডলের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) সেলিম আহমেদ এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার আলহাজ্ব সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে। 

বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, উপজেলার আলহাজ্ব সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজশাহী থেকে গতকাল অডিট টিম আসে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার কারণে আমি সেখানে যায়। দুপুর ২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে আমি স্কুল থেকে বের হচ্ছিলাম। সেসময় স্কুল গেটে কাছে সংসদ সদস্যের এপিএস সেলিম আহমেদ পিস্তল ঠেকিয়ে আমার গতিরোধ করেন। এরপরই সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, কাউন্সিলর শিপন ও হাফিজুলের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল এসে আমাকে পেটাতে শুরু করে। মারধরে আমার চোখের বামপাশ কেটে যায়। আমার সঙ্গে থাকা নাবিল ও সাব্বিরসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেলের গতিরোধ করছে এ ঘটনার ছবি তোলার সময় মুসা নামের স্থানীয় এক সাংবাদিককেও মারধর করেছে তারা। বিষয়টি  পুলিশকে জানানো হয়েছে। 

আহত সাংবাদিক মানবজমিনের বেলকুচি উপজেলা প্রতিনিধি আবু মুসা বলেন, হামলার সময় ছবি তুলতে গেলে সেলিম সরকার ও তার লোকজন মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে। চলে যাবার সময় তারা আমাকে বলে যান, এমপির বাড়িতে এসে মোবাইল নিয়ে আসতে।

অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়রের সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে এমপির এপিএস সেলিম ছিলেন না।

এমপির এপিএস সেলিম সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগ ওঠায় রাজশাহী থেকে তদন্ত টিম এসেছিল। ওই সময় স্কুলের অভিভাবকরা লিখিতভাবে তাদের মতামত তদন্ত কমিটির কাছে দেন। লিখিত মতামত মেয়রের বিরুদ্ধে যাওয়ায় মেয়র ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে স্কুলের অভিভাবকসহ আশপাশের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, আলহাজ্ব উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি তদন্ত কমিটি এসেছিল। তদন্তকালে দুটি পক্ষ ছিল। তদন্ত শেষে যখন দুই পক্ষই বের হয়ে যান, তখনই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসি। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। 

ঘটনাস্থলে এমপির এপিএস ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি এখানে তিনি ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। মেয়র লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মণ্ডলের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অদিত্য/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়