যশোরে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে স্থায়ী বহিষ্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
ফাতেমা আনোয়ার
যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরআগে শুক্রবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
‘প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন’-ফাতেমা আনোয়ারের এমন বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনবিরোধী ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে যশোর জেলার অন্তর্গত সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ারকে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
এ ব্যাপারে যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি মঞ্জুন্নাহার নাজনীন সোনালী বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি ফাতেমা আনোয়ারকে বহিষ্কার করেছে। এরআগে শুক্রবার যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ফাতেমা আনোয়ারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদার বলেন, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জামাতাও বিএনপি করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তার স্বামী জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা এবং একই পরিবার থেকে একাধিক দল করতেই পারে।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।
এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ মন্তব্য করবে এটা নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে; এর মাধ্যমে আমার প্রতি অবিচার করছে বলে মনে করছি।
রিটন/ফয়সাল