নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় যুবক নিহত
দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে ওসিকুর ভুইয়ার নিহতের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘোরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ রোববার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর কর্মী-সমর্থক এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
গত ৮ মে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়। আর গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলীর সমর্থক মো. ওসিকুর ভুইয়া গুলিতে নিহত হন। অভিযোগ আছে, বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থকেরা গুলি করেছেন। এ ঘটনায় কামরুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ৭৩ জনকে আসামি করে নিহতের বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কেউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বিক্ষুব্ধরা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘোরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। প্রায় ১ ঘণ্টা ঘোরাও করে রাখার পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মুশফিকুর রহমান লিটন, যু্বলীগ নেতা জাহেদ মাহমুদ বাপ্পী, রনি হোসেন কালু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা বক্তব্য রাখেন। পরে দোষীদের গ্রেপ্তার ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষ তা মেনে নিয়েছিল। কিন্তু অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করিয়ে হত্যা করা হলো। আগামী সাত দিনের মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে অপসারণ করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বাদল/বকুল