ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১১ ১৪৩১

আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আহত ২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ২২ মে ২০২৪  
আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আহত ২০

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় হামলা পাল্টা হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ও বুধবার (২২ মে) সকালে এসব ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে।

আরো পড়ুন:

এরআগে মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মোস্তাকিম এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শাহনেওয়াজ ডালিম গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে দুই জনকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম বলেন, বিজয়ী চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কর্মী খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একই গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৫টি বাড়ি তছনছ করে সন্ত্রাসীরা।

বুধবার সকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাঙচুর করা হয় বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ, তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপনগরের আব্দুস সামাদসহ কমপক্ষে ২০ জনের বাড়ি।

এ ছাড়া প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হাতুড়ির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান ও তোয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেনসহ কমপক্ষে ৫ জন।

তবে, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের বিজয়ী চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের দাবি, এটা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা নয়, এটি আসলে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ডালিমের কর্মী-সমর্থকরা কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন, খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ও বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানার বামনডাঙ্গার বাড়ি ভাঙচুর করেছে।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা হবে।

শাহীন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়