ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় মোশারুল ও রাণীশংকৈলে বিপ্লব জয়ী

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে মোশারুল ইসলাম সরকার ও রাণীশংকৈল উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকে আহাম্মদ হোসেন (বিপ্লব) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ এবং পরে গণনা শেষে রাত ১০টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এবং রাত পৌনে ১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

সদর উপজেলায় মোশারুল ইসলাম সরকার ১ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে অরুনাংশু দত্ত টিটো ৯২ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া ঘোড়া প্রতীকে মো. রওশানুল হক ১৪ হাজার ৬৯৯ ও কাপ-পিরিচ প্রতীকে কামরুল হাসান খোকন ২ হাজার ১৬১ ভোট পেয়েছেন।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে আব্দুর রশিদ ১ লাখ ৫ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উড়োজাহাজ প্রতীকে মো. গোলাম মোস্তফা ৭৩ হাজার ১৮৭ ও চশমা প্রতীকে মো. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৪৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে মাসহুরা বেগম হুরা ১ লাখ ৩ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকে প্রিয়া আগর ওয়ালা ১ লাখ ৩ হাজার ২৩৮ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে, রাণীশংকৈল উপজেলায় ৪৪ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আহাম্মদ হোসেন (বিপ্লব)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইদুল হক পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮০ ভোট। এছাড়া মোটরসাইকেল প্রতীকে আব্দুল কাদের ৩২ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়েছেন।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহেল রানা টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৩ হাজার ১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রমজান আলী বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া বাবর আলী চশমা প্রতীকে ১৬ হাজার ৪০৮, দিগেন্দ্রনাথ রায় তালা প্রতীকে ১৫ হাজার ৪৯ এবং মো. হযরত আলী টিয়া পাখি প্রতীকে ১১ হাজার ৯৮৫ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. সারমিন আক্তার হাঁস প্রতীকে ৩২ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকে ফরিদা ইয়াসমিন ২৯ হাজার ১৭৫ ভোট পেছেয়েন। মোছা. মাহফুজা বেগম কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৬৫ ও মোছা. শেফালী বেগম পদ্ম ফুল প্রতীকে ২১ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়েছেন।