ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আইসিটি মামলা: দুই সপ্তাহ ধরে ৪ শিক্ষক অনুপস্থিত

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২২ মে ২০২৪  
আইসিটি মামলা: দুই সপ্তাহ ধরে ৪ শিক্ষক অনুপস্থিত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হওয়ার পর গত ১৪ দিন ধরে তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। এতে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটলেও কর্তৃপক্ষের নীরব থাকার অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন:

হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন (৫২), মধ্য রেহানিয়া আব্দুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন তানভীর (৩৫), ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আরা বেগম (৩৫) ও হাসান উদ্দিন বিপ্লব গত ৬ মে থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ (আইসিটি) আইনে মামলা দায়ের করেন হাতিয়ার ম্যাক পার্শ্বান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মামুন অর রশিদ। ওই মামলায় প্রধান আসামি জেলার সদর উপজেলার মাইজভান্ডার শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বাদি মামুন অর রশিদের স্ত্রী চৌধুরীহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার নলুয়া রেহান আলীর মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত আপত্তিকর ছবি হ্যাক করে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব করেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে এসব শিক্ষকরা এতদিন অনুপস্থিত থাকা অস্বাভাবিক। তাদের অনুপস্থিতিতে অন্য শিক্ষকদের উপর চাপ পড়ছে।

হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (টিইও) মো. আবদুল জব্বার বলেন, আমার কাছে মামলার কপি নেই।
এই প্রতিবেদকের কাছে আছে বললে তিনি বলেন, তাহলে হাওয়ার উপরে লিখে দেন। আপনারা সাংবাদিক, যেটা মনে আসে সেটা লিখে দেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ চাকমা বলেন, বিষয়টি টিইও অফিসিয়ালি আমাকে জানায়নি। জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) মো. মনসুর আলী বলেন, এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সুজন/ফয়সাল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়