ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

গরমে রংপুরে চাহিদা বেড়েছে আখের রসের

আমিরুল ইসলাম, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ২৬ মে ২০২৪  
গরমে রংপুরে চাহিদা বেড়েছে আখের রসের

বোতলে পরিবারের সদস্যদের জন্য আখের রস কিনছেন এক ক্রেতা

দেশের অন্য জেলাগুলোর মতো তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত রংপুর নগরী। গত দুই দিন ধরে এখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। অতিপ্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ি এবং অফিসের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষজন। যারা বের হচ্ছেন তাদের অনেককেই গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আখের রসের দোকানে ভিড় করতে দেখা গেছে। 

মেশিনে আখ পিষে রস বের করে গ্লাস ভরে তৃষ্ণার্তদের পান করাতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। ক্রেতাদেরও পরম তৃপ্তি নিয়ে পান করতে দেখা গেছে সেই রস। 

গতকাল শনিবার নগরীর শাপলা চত্বরের বটতলায় ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম নিতে দেখা যায় শ্রমজীবী মানুষদের। পাশেই আখের রস বিক্রিতে ব্যস্ত ছিলেন পেয়ারুল নামের এক যুবকের। ব্যাটারি চালিত ম্যাশিনে অনাবরত আখ পিষে রস বের করে গ্লাসে করে তৃষ্ণার্তদের কাছে বিক্রি করছিলেন এই যুবক। পেয়ারুল গ্লাসের সাইজ অনুযায়ী রস ১০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। অনেকেই তার কাছ থেকে ৭০ টাকা লিটার দরে আখের রস বোতলে করে পরিবারের জন্য বাড়িতে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।

আরো পড়ুন:

গরম থেকে বাঁচতে গাছ তলায় বিশ্রম নিচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষরা

আখের রস পান করার সময় কথা হয় অটোরিকশা চালক আসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তায় রিকশা চালানোর সময় তীব্র গরমের কারণে শরীর বারবার ঘেমে যায়। গলা শুকিয়ে আসে। তাই মাঝে মধ্যে গাছ বা ভবনের নিচে ছায়ায় বসে কিছুটা বিশ্রাম করি। মাঝে মধ্যে দোকান থেকে আখ ও লেবুর শরবত পান করে গলাটা ভিজিয়ে নেই।

আখের রস বিক্রেতা পেয়ারুল বলেন, কৃষক বাবার দারিদ্র্য সংসারে নিজে পড়ালেখা করতে পারিনি। সংসারের ভরণপোষণ আর ছোট দুই ভাই-বোনের পড়ালেখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছি। আখের রস বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তার ওপর অনেক কিছু উপর নির্ভর করে। ভোর থেকেই বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে আখ কিনে আনি। পরে সেই আখ প্রক্রিয়াজাত করে সকাল ১০টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত রস বিক্রি করি। দৈনিক ৪-৫ হাজার টাকার রস বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে আয় থাকে দুই হাজার টাকার মতো। গরমে আখের রসের চাহিদা বেড়েছে। ফলে বেচাকেনাও হচ্ছে ভালো। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসলাম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত দুই দিন রংপুরে তাপমাত্রার পারদ ঠেকেছে ৪০ ডিগ্রির ঘরে। শনিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত এই নগরীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়